চট্টগ্রামের সিআরবি শিরিষ তলা মাঠে বৃক্ষমেলা শুরু

মুরগি পালন

মুরগির বাসস্থানঃ

দেশি ডিম পারা মুরগির পালনের জন্য খোলামেলা ঘর হতে হবে।  ১০ টি মুরগী পালন করার ক্ষেত্রে খাচার সাইজ হবে দৈর্ঘ্য ১০ফিট, প্রস্ত ৩ ফিট, উচ্চতা ১.৫ ফিট এবং বিষ্ঠার ট্রে ৮ ইঞ্চি দূরত্বে রাখা লাগবে । ঘরের বেড়া বাঁশের তরজা বা কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে অথবা ১০ নাম্বার লোহার শিখ দিয়েও তৈরি করতে পারবে।

বিষ্ঠা  ব্যবস্থাপনাঃ

প্রতিদিনের বিষ্ঠা  প্রতিদিন পরিস্কার করতে হবে অন্যথায় বিষ্ঠার অ্যামোনিয়া গ্যাসের মাধ্যমে নানান রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

খাবার ব্যবস্থাপনাঃ  

ধান, গম, ভূট্টা এবং লেয়ার লেয়ার ওয়ান ডিম পারা মূরগির খাওয়ারের জন্য উপযোগী।

রোগ ব্যবস্থাপনাঃ

রোগ সমূহ: রাণীক্ষেত রোগ, গামবোরা রোগ, পুলোরাম রোগ, বসন্ত রোগ, ফাউল কলেরা রোগ, হিট স্ট্রোক রোগ, আমাশয় রোগ ইত্যাদি।

রাণীক্ষেত রোগের লক্ষণ সমূহঃ-

সাদা চুনের মত পাতলা মল ত্যাগ করে।
ঘাড় বেঁকে যায়, কখনও কখনও একই স্থানে দাঁড়িয়ে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।
নাক দিয়ে সর্দি ও মুখ দিয়ে লালা ঝরে।
শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয় এবং হা করে নিঃশ্বাস নেয়।
মাথা নিচু ও চোখ বন্ধ করে ঝিমাতে থাকে।
মুরগী দূর্বল হয়ে ঠোঁট ও বুক মাটিতে লাগিয়ে বসে পড়ে।
মুরগী খাওয়া বন্ধ করে দেয়।

 

খাচায় পালিত মুরগির ক্ষেত্রে রোগ সংক্রমণের ঝুকি কম।

আর্থসামাজিক উন্নয়নঃ
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে হাঁস-মুরগির গুরুত্ব অপরিসীম। তুলনামূলক স্বল্প বিনিয়োগ এবং অল্প ভূমিতে বাস্তবায়নযোগ্য বিধায় জাতীয় অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আত্ম-কর্মসংস্হানঃ
হাঁস-মুরগি পালন, বেকার যুব সমাজ, ভূমিহীন কৃষক এবং দুস্হ গ্রামীন মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্হানের একটি উল্লেখযোগ্য উপায়।

প্রাণিজ আমিষের উৎসঃ
দেশের অধিকাংশ মানুষ পুষ্টি সমস্যায় আক্রান্ত। হাঁস-মুরগির মাংস ও ডিম উন্নতমানের প্রাণিজ আমিষের উৎস। মাংস ও ডিমের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণ করে এই সমস্যা সমাধান করা যায়।

আয়ের উৎসঃ
আদিকাল থেকে গ্রাম বাংলার মহিলারা বাড়তি আয়ের উৎস হিসাবে হাঁস-মুরগি পালন করে আসছে।

জৈব সারঃ
হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা উন্নতমানের জৈব সার যা ব্যবহার করে কৃষি ফসল উৎপাদনে লাভবান হওয়া যায়।

অন্যান্য শিল্পের উপকরণ হিসাবে হাঁস-মুরগির উপজাতের ব্যবহারঃ
হাঁস-মুরগির পালক দ্বারা খেলার সামগ্রী, ঝাড়- ইত্যাদি এবং রক্ত ও নাড়িভূড়ি প্রক্রিয়াজাত করে পশু-পাখীর খাদ্য তৈরীর জন্য আলাদা শিল্প গড়ে উঠেছে।

জ্বালানী সাশ্রয়েঃ
পোল্ট্রির বর্জ্য এবং লিটার ব্যবহার করে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব যা ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানী সাশ্রয় করে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা যায়।

আয়ের উৎসঃ
আদিকাল থেকে গ্রাম বাংলার মহিলারা বাড়তি আয়ের উৎস হিসাবে হাঁস-মুরগি পালন করে আসছে।