টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট)ঃ ফসফরাস কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ করে। শর্করা উৎপাদন ও আত্তীকরণে সাহায্য করে। শিকড়ের বৃদ্ধি বিস্তার উৎসাহিত করে। গাছের কাঠামো শক্ত করে এবং নেতিয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে। রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করে। ফুল, ফল ও বীজে গুণগতমান বাড়ায়।
মাটিতে ফসফরাসের ঘাটতি হলে কাণ্ড এবং মূলের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। গাছের বৃদ্ধি কু-লিকৃত বা পাকানো হয়। পুরাতন পাতা অকালে ঝরে যায়। পার্শ্বীয় কাণ্ড এবং কুড়ির বৃদ্ধি কমে যায়। ফুলের উৎপাদন কমে যায়। পাতার গোড়া রক্তবর্ণ অথবা ব্রোনজ রঙ ধারণ করে। পাতার পৃষ্ঠভাগ নীলাভ সবুজ বর্ণ ধারণ করে। পাতার কিনারে বাদামি বিবর্ণতা দেখা যায় এবং শুকিয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়।
ব্যবহারঃ প্রথমত গাছের মাটি তৈরি সময় মাটির সঙ্গে বিভিন্ন উপাদানের পাশাপাশি টি এস পি সার মেশাতে পারেন। প্রতি মিশ্রণে ৪% টি এস পি সার রাখতে পারেন। এতে গাছ লাগানোর পর গাছটিতে ফসফরাসের অভাব হবে না। উল্লেখ্য, মাটিতে, টিএসপি পটাশ ও ডিএপি সার মেশাতে পারেন। তবে এই রাসায়নিক সার মাটিতে মেশানোর পর সেই মাটি তিন থেকে চার দিন পর ব্যবহার করা উত্তম। এতে করে আরকি সমস্ত মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারবে।
পাশাপাশি টপ এর চারপাশে 15 থেকে 20 দানা পরিমাণ সার ছড়িয়ে দিতে পারেন।
সতর্কতাঃ টি এস পি সার অধিক ব্যবহারে ইউরিয়া সারের মত ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নাই। তবুও পরিমাণমতো ব্যবহার করাই উত্তম। টি এস পি সার মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারে গাছের ফলন বৃদ্ধি কমে যেতে পারে।